শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালে মুলাদী উপজেলায় সয়াবিন চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বৈশাখের শেষ দিকে সয়াবিন কাটা শুরু করবেন কৃষক। তবে শেষ মুহূর্তে আবহাওয়া ভালো থাকলে সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লাভেব আশা কৃষকের।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠে এখন সয়াবিন আর সয়াবিন। এ বছর উপজেলার নাজিরপুর, ছবিপুর, কৃষ্ণপুর, গাছুয়া, চরকালেখানসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রায় ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ করা হয়েছে।
মুলাদী উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ বাহাউদ্দিন বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় কম খরচে সোয়াবিনের ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে মুলাদী উপজেলায় ৫১০ জন কৃষককে ৮ কেজি বীজ ও ২০ কেজি সার দেওয়া হয়েছে।
মুলাদী উপজেলায় রবি-২০২৩-২৪ মৌসুমে ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সোয়াবিন চাষ করা হয়েছে। ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি হেক্টর জমিতে ৮ হাজার ২০০ মেট্রিক টনের বেশি ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী কৃষকেরা।
মুলাদী সদর ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর কৃষকের মাঝে সয়াবিন চাষে আগ্রহ বেড়েছে। সয়াবিন বছরের সব সময় চাষ করা যায়। তবে রবি মৌসুমে ফলন বেশি হয়। যে কারণে রবি মৌসুমে সয়াবিনের আবাদ হয়ে থাকে। ৯৫ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা যায়।
চরকালেখান ইউনিয়নের কৃষক ছানাউল্লাহ করিম বলেন, সয়াবিন চাষে খরচ কম। পোকামাকড়ের আক্রমণও কম থাকে। জমি আবাদ করতেও ততটা খরচ লাগে না। ফলে ধান চাষের চেয়েও বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাই কৃষক সয়াবিন চাষে আগ্রহী বেশি।
মুলাদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ এবং সহযোগিতা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকেরা শুধু ধানের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সব ধরনের ফসল উৎপাদন করছেন। তিনি আরো জানান, কৃষকদের কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সয়াবিনের বাম্পার ফলন হবে।